গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পেয়ারা খেলে শরীরের রক্তচাপ ও রক্তের লিপিড নিয়ন্ত্রণে থাকে
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পেয়ারা খেলে শরীরের রক্তচাপ ও রক্তের লিপিড নিয়ন্ত্রণে থাকে
পেয়ারা বা গয়া এর (বৈজ্ঞানিক নাম:Psidium
guajava),
এটি এক রকমের সবুজ রঙের বেরি জাতীয় ফল। পেয়ারার প্রায় ১০০টিরও বেশি প্রজাতি আছে। এটি ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েডস,ফোলেট, পটাশিয়াম, আঁশ
এবং ক্যালসিয়াম প্রভৃতিতে সমৃদ্ধ। পেয়ারার খোসায় কমলার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। এই ফলে লৌহ উপাদানও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান। পেয়ারা পাতার রস ক্যান্সার প্রতিরোধী এবং সংক্রমণ, প্রদাহ, ব্যথা জ্বর, বহুমূত্র, আমাশয় প্রভৃতি রোগে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
পেয়ারার পুষ্টিগুণ সমূহ:-
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি পেয়ারায় রয়েছে ৪টি কমলালেবুর সমান পুষ্টিগুণ, বিশেষ করে ভিটামিন সি। একটি পেয়ারায় রয়েছে চারটি আপেল ও চারটি কমলালেবুর সমান পুষ্টিগুণ। পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পানি, ফাইবার, ভিটামিন এ, বি, এছাড়াও রয়েছে কো পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও খনিজ পদার্থ। পেয়ারা হলো ভিটামিন সি–এর ভালো উৎস। ভিটামিন সি মুখগহ্বর, দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
পেয়ারা খাওয়ার উপাকারিতা সমূহ হলো:-
১.রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে অনেক গুণ । দেহের কোথাও কেটে গেলে ক্ষতস্থান শুকানোর জন্য এ অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২.ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
ডায়াবেটিসে আএান্ত রোগীদের জন্য পেয়ারা খুবই উপকারী। পেয়ারায় থাকা পুষ্টি এবং ভিটামিন উপাদান সমূহ ডায়াবেটিস মেলিটাস চিকিৎসায় খুব কার্যকরী। ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধে পেয়ারা পাতাও বেশ কার্যকরী।
৩.ক্যানসা রোগ প্রতিরোধে
ক্যানসার রোগ প্রতিরোধে পেয়ারা খুব ভালো কাজ করে থাকে।পেয়ারার অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, লাইকোপেন, ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে কাজ করে থাকে। স্তন ক্যানসারের মতে রোগ প্রতিরোধে পেয়ারা খুবই উপকারী।
৪ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে
পেয়ারা হলো ভিটামিন এ–এর ভালো উৎস। পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন এ চোখের কর্নিয়াকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি রাতকানা রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৫.উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পেয়ারা খেলে শরীরের রক্তচাপ ও রক্তের লিপিড নিয়ন্ত্রণে থাকপ। পেয়ারাতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৬ ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করে
শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা লাগা, সর্দি–কাশি রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে পেয়ারা। ঠান্ডাজনিত সমস্যা ব্রঙ্কাইটিস রোগ প্রতিরোধও কাজ করে থাকে পেয়ারা। আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকায় পেয়ারা দেহের শ্লেষ্মা কমিয়ে দেয়।
৭.স্ট্রেস দূর করে
শারীরিক স্ট্রেস দূর করতে পেয়ারা খুবই কার্যকরর ভুমিকা পালন করে। এছাড়া পেশি আর স্নায়ুর কার্যকারিতা অনেক গুণ বৃদ্ধি করে দেয়। চাপ কমায় এবং শক্তি বাড়ায়।
৮.পেটের সমস্যায়
যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বা পেটের গোলযোগে সবচেয়ে কার্যকরী হলো পেয়ারা। এ ছাড়া এই ফল কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয়সহ পেটের অসুখ সারাতে খুব ভালো কাজ করে। পেয়ারা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
৯ত্বক ও চুলের পরিচর্যায়
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান থাকে, যা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর করে ও শীতে পা ফাটা রোধ করে।
১০.পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে
অনেকেরই পিরিয়ড চলাকালে পেটে তীব্র ব্যথা হয় এবং প্রতিকারে ওষুধ সেবন করতে হয়। এ সময় পেয়ারার পাতা চিবিয়ে কেউ খেলে তাঁর পিরিয়ডের ব্যথা দ্রুত সময়ে উপশম হতে পারে।
What's Your Reaction?