পেটের সমস্যা দূর করে
পেটের সমস্যা দূর করে চুল ওঠা ও খুসকির সমস্যা দূর করে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে
পেটের সমস্যা দূর করে
ধনিয়া পাতার বৈজ্ঞানিক নাম: Coriandrum sativum)।এটি সুগন্ধি জাতীয় ঔষধি গাছ। এটি একবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার স্থানীয় বিশেষ উদ্ভিদ। ধনের বীজ থেকে বানানো তেল সুগন্ধিতে, ওষুধে এবং মদে ব্যবহার করা হয়ে থকে । বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র অঞ্চলে ধনের বীজ খাবারের মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয় থাকে।
বিবরণ
ধনে হচ্ছে বীরুৎ তৃণ জাতীয় খাবার। এই গাছের পাতা ছোট, সবুজ, মসৃণ হয়। ডালপালা অনেক হয় ও দেখতে সরু।এই গাছে ছোট ছোট থোকায় থোকায় সাদা ফুল ফোটে। ফুল থেকে দানাকৃতির ফল হয়। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ হয়।
পুষ্টিগুন
ধনিয়া পাতায় রয়েছে ১১ জাতের এসেনশিয়াল অয়েল তন্মধ্যে লিনোলেয়িক এসিড, লিনোলেনিক এসিড, স্টিয়ারিক এসিড, পামিটিক এসিড ইত্যাদি অন্যতম।এছাড়া এতে রয়েছে ফাইবার।
ভিটামিন সমূহের মধ্যে এতে রয়েছে, ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘কে’, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন ইত্যাদি। মিনারেলের মধ্যে রয়েছে ম্যাংগানিজ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্লোরিন এবং জিংক, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমানে পলিফেনল ও ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটিতে কোলেস্টেরল এর মাত্রা শূন্য।
ধনে পাতার উপকারিতা
১. ধনে পাতায় কোলেস্টেরল এর মাত্রা শূন্য।যার ফলে এটি খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়, ভাল কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
২. ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগির জন্যে ধনে পাতা বিশেষ উপকারি। এটি ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তের সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৩. ধনে পাতায় থাকা অ্যান্টি-সেপটিক মুখে আলসার নিরাময়েও খুব ভালো উপকারী, চোখের জন্যেও বেশ ভাল কাজ করে থাকে।
৪. ঋতুস্রাবের সময় রক্তসঞ্চানল ভাল হওয়ার জন্যে ধনে পাতা খেলে উপকার পাওয়া যায়।এতে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা সারাতেও বেশ উপকারী।
৫. এটি খুব স্বাস্থ্যসম্মত একটি ভেষজ উদ্ভিদ।
৬. ধনে পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা বাতের ব্যথাসহ হাড় এবং জয়েন্টের ব্যথা উপশম করতে কাজ করে থাকে।
৭. স্মৃতিশক্তি প্রখর এবং মস্তিষ্কের নার্ভ (স্নায়ু) সচল রাখতে সাহায্য করে ধনে পাতা।
৮. ধনে পাতায় রয়েছে ভিটামিন ‘কে’ যা অ্যালঝেইমার রোগের চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী।
৯. ধনেপাতায় এসেনশিয়াল অয়েল লিনোলেয়িক এবং লিনোলিক অ্যাসিড থাকে যার মধ্যে অ্যান্টিরিউম্যাটিক এবং অ্যান্টি-আথ্রাইটিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।যার ফলে এটি ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে।
১০. ডিসইনফেকট্যান্ট, ডিটক্সিফাইং বা বিষাক্ততা রোধকারী, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারণে স্কিন বা ত্বকের অসুস্থতা যেমন:
একজিমা, ত্বকের শুষ্কতা এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করে থাকে খুব ভালো ভাবে।
১১.ধনে পাতায় অ্যান্টি হিস্টামিন উপাদান থাকায় এটি অ্যালার্জি বা এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে দূরে রাখে।
১২. খাবারের মাধ্যমে সৃষ্ট সবচেয়ে ভয়াবহ রোগ সালমোনেলা থেকে মুক্ত রাখে। ধনে পাতায় উপস্থিত ডডেসিনাল উপাদান প্রাকৃতিক উপায়ে সালমোনেলা জাতীয় রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়টিকের থেকে দ্বিগুণ কার্যকর ভুমিকা পালন করে ।
১৩. এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিইনফেকসাস, ডিটক্সিফাইং, ভিটামিন ‘সি’ এবং আয়রন গুটিবসন্ত প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করে।
১৪.পেটের সমস্যা দূর করে।
১৫.চুল ওঠা ও খুসকির সমস্যা দূর করে।
১৬.হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে।
What's Your Reaction?