সর্দিকাশিতে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

শরীরে উচ্চরক্তচাপ কমাতে রসুন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সর্দিকাশিতে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এবডোমিনাল ডিসট্রেস কমাতেও রসুন ব্যবহৃত হয়। ভেম্পায়ার তাড়ানো অথবা ভেম্পায়ার কাটা স্থান চিকিৎসাতেও এটি ব্যবহৃত হয়।

Jul 2, 2024 - 20:03
 0  50
সর্দিকাশিতে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সর্দিকাশিতে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

রসুন এর বৈজ্ঞানিক নাম-(Allium Sativum)

ভেম্পায়ার তাড়ানো অথবা ভেম্পায়ার কাটা স্থান চিকিৎসাতেও এটি ব্যবহৃত হয়।

রসুনের গুনাবলী সম্পর্কে আমরা আজকের বিস্তারিত জানব।

 প্রাচীনকাল থেকেই রসুন ওষধি সব্জি হিসেবে পরিচিত এবং ব্যবহৃত হয়ে আসছে।এটি সব ঋতুতে পাওয়া যায়। 
রসুন সব থেকে পুরানো ওষধি গাছ।
রসুন (allium) পরিবারের, এ পরিবারের অন্যান্য সদস্য হল পিয়াজ , (leeks,chives, scallions and shallots) সকল পিয়াজ জাতীয় উদ্ভিদ . এর জন্য রসুন এত ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত।

প্রাচীন কাল থেকেই মধ্য এশিয়ায় এটি উৎপাদিত হয়ে আসছে। রসুনের উপকারিতার জন্য এটি বেশি উৎপাদন করে থাকে। রসুন খাদ্য এবং ঔষধ উভয়ভাবে ব্যবহৃত হয়। 

 রসুন এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলে। 
রসুন ডায়েট সাপ্লমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে রসুন টেবলেট এবং ক্যাপ্সুল আকারেও পাওয়া যাচ্ছে। ফ্লুয়িড এক্সটেক্টশন এও রসুন ব্যবহৃত হয়। 
ইউরোপে সব থেকে বিক্রিত বোটানিক্যাল ঔষধ হল রসুন। এটি একটি অন্যতম প্রধান crude drug।

রসুন কিভাবে কাজ করে এবং গুনাগুন :

 ১. এসিলিন এর মধ্যে অন্যতম। Allicin হল এন্টিমাইক্রোবিয়াল, কোলেস্টেরল হ্রাসকারী,রক্ত জমাট বাধাতে সাহায্য করে। এর এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রোটেক্টিভ কেপাসিটি আছে। রসুনের ইনসেক্টিসাইডাল, এন্টিফুগাল এবং এন্টিটিউমার প্রোপার্টিস আছে। এর এন্টি-ক্লোটিং এজেন্ট ajoene রয়েছে।

২.শরীরে উচ্চরক্তচাপ কমাতে রসুন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
৩.সর্দিকাশিতে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৪. এবডোমিনাল ডিসট্রেস কমাতেও রসুন ব্যবহৃত হয়।
৫.ভেম্পায়ার তাড়ানো অথবা ভেম্পায়ার কাটা স্থান চিকিৎসাতেও এটি ব্যবহৃত হয়।

রসুনের প্রতিকূল দিক গুলো হল:

 রসুন খাওয়ার পরে শরীরের ঘামে এবং মুখে খুবই তীব্র দূর্গন্ধ হয়। অতিরিক্ত রসুন খেলে বোমি হবার আশংকা থাকে। 
25 mL dose রসুন নিলে মুখ এর ভিতরের চামড়া পুড়ে যায় , ঘাম হয়.হাল্কা মাথা ব্যথা হয়। 
তাই আমাদের পরিমিত পরিমানে রসুন সেবন করা উচিৎ যাতে আমরা রসুনের সকল উপকারিতা গুলো পাই।

রসুন সেবনের পরিমাণ :

‌ দৈনিক রসুন সেবনের পরিমান হল:
 ১: 2 থেকে 5 গ্রাম টাটকা কাচা রসুন;
 ২: 0.4 থেকে 1.2 গ্রাম শুকনা রসুন গুরা;
 ৩: 2 থেকে 5 মি.গ্রা রসুন তেল; 
৪: 300 থেকে 1,000 মি.গ্রা রসুনের নির্যাস।

 আমাদের দৈনিক খাদ্য তালিকায় রাখলে আমরা অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যাবো। 
আশেপাশে আমাদের দেশজ খাবার আমাদের সব থেকে বড় ঔষধ। তাই নিজেরা ভালো থাকি এবং নিজের পরিবার কেও সকল রোগের হাত থেকে দূরে রাখি।


বিশেষ দ্রষ্টব্য :
 এটা প্রমাণিত যে রসুন উচ্চরক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে তবে এটি ক্লিনিকালভাবে ব্যবহৃত হয় না। এন্টিবায়োটিক এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল হিসাবে এটি প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।এছাড়া সাধারণ সর্দিকাশি, রেস্পেরেটরী ইনফেকশন, মাইল্ড ব্রোনক্রাইটিস, কফ এসব ক্ষেত্রেও রসুন ব্যবহৃত হয়। কোলন কেন্সার, ডায়াবেটিস, পাকস্থলী কেন্সার এসব রোগের চিকিৎসাতে রসুন ফলপ্রসূ যদিওবা পর্যাপ্ত প্রমান নেই।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow