সূর্যোদয়ের পর অনেকের মাথায় যন্ত্রণা হয়
কেশরাজ কি কেশরাজ দেখতে কেমন কেশরাজের গুণাবলী
সূর্যোদয়ের পর অনেকের মাথায় যন্ত্রণা হয়
কেশরাজ বা কেশুতি,কেউতি,কালোকেশিরিয়া, কালসাতার এর বৈজ্ঞানিক নাম : (Ectipta prostrata Linn,Elcipta alba Hask),
এটি Compositae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। অত্যন্ত উপকারী একটা ঔষধি ঘাস ফুলের গাছ কেশরাজ। এই
বর্ণনা পরিচিতি :
বর্ষজীবী কেশরাজ গুল্ম জাতীয় উদ্দ্ভিদ।এর শাখা লতানো। শাখা থেকে প্রশাখা বের হয়। শাখা-প্রশাখার মত পাতাও বিপ্রতীপ ভাবে বের হয়। কেশরাজের পাতা খুবই ছোট। গাঢ় সবুজ রঙের। লম্বায় ৪ থেকে ৫সে.মি,চিকন। পাতার কোল থেকে প্রশাখা বের হয়। এই প্রশাখার শেষ প্রান্তে ২/৩ টি ফুল ফোঠে।এই গাছের ফুল সাদা। অনেক গুলো সাদা সাদা রঙের পরাণ নালী। বৃতি পাচঁটি,সংযুক্ত। ফুল থেকে ফল হয়। ফল গাঢ় সবুজ হয়। প্লটের মত হয়ে থাকে । ফলের ভেতর অতি ক্ষুদ্র বীজ থাকে। বীজের খোসা শুকোনো মাটির মত হয়। খোসার ভেতর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কালো রঙের অসংখ্য বীজ হয়ে থাকে।
ব্যবহারী অংশ:
এই গাছের পাতা,কাণ্ড,ফুল ও ফলে রয়েছে এ্যালকোলয়েড স্টেরল,ইউডেলোল্যাকটোন,লিউটেইওলিন,গ্লাইকোসাইড,ট্রিটারপেন,গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটেস্টেরল বিদ্যমান।এই গাছর কিছুই ঔষধি হিসেবে ব্যবহাট করা হয়।
কালোকেশী গাছের উপকারিতা:-
১. কেশরাজ উদ্ভিদটি জাল দিয়ে নির্যাস তৈরী করতে হবে তারপর মায়োকার্ডিয়াল ডিপ্রেস্যান্ট ও হাইপোটেনসিভ সাথে বেটে খেলে কৃমি ও কাশির উপশম দূর হয়।
২ উদ্ভিদটির পাতা, ফুল এবং ফল বেটে রস তৈরী করে নিয়মিত কয়েকদিন মাথায় দিলে মাথা ঠাণ্ডা হয় থাকে, চুল পড়া বন্ধ হয় যায়, চুল লম্বা হয় ও কালো হয় থাকে।
৩. শরীরের কাটা যাওয়া স্থানে কেশরাজ গাছের পাতার পেস্ট বানিয়ে লাগালে সাথে- সাথে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এবং ধীরে ধীরে কাটা স্থানের ক্ষত শুকিয়ে যাবে।
৪. ইথনোফার্মাকোলজি পত্রিকার জার্নাল স্টাডিজ দেখা গেছে যে কেশরাজ ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলতে সক্ষম।
৫.কেশরাজের পাতার রস চুলের গোড়ায় লাগায়ে একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে রাখার এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেললে এক মাসের মধ্য চুল হবে উকুনমুক্ত। সপ্তাহে অন্তত দু বার এটি ব্যবহার কটতে হবে।
৬. কেশরাজ গাছের নির্যাস কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করে থাকে।
৭.সূর্যোদয়ের পর অনেকের মাথায় যন্ত্রণা হয়ে থাকে । কেশরাজের রস দুই ফোঁটা নাকের ভিতরে এবং কপালে মালিশ করলে মাথা ব্যথা দূর হয় এবং খুব আরাম পাওয়া যায়।
৮.একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত ২ চা চামচ পরিমাণ কেশরাজের রস সেবন করলে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৯.লিভার সুরক্ষায় কেশরাজ গাছে বিদ্যমান অ্যামিডোপাইরিন এন-ডিমথাইলিন গ্লুকোজ-৬ ফসফেটের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে লিভার এ্যাবসেস, লিভার সিরোসিস, লিভারের প্রদাহ, এটি লিভারের টনিক হিসেবে কাজ করে। জন্ডিস দূর করতেও এটি সাহায্য করে। দৈনিক কেশরাজ পাতার রস ১ চা চামচ আধাকাপ পানির সাথে মিশিয়ে খেলে রক্তস্রোত এবং ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে দিয়ে শরীরকে সতেজ করে তুলে ।
১০. জার্নাল প্যারাসিটোলজি রিসার্চ টিমের গবেষণার মাধ্যমে দেখা গেছে যে কেশরাজ পরিবেশে কোনও ধরনের প্রতিকূল প্রভাব ছাড়াই মশার লার্ভা প্রসারন নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকরী।
১১.কালোকেশী মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে ।
১২কেশরাজ পাতার রস নিয়মিত ১ চা চামচ আধাকাপ পানির সাথে মিশিয়ে খেলে কাশি দূর হয়।
What's Your Reaction?