ত্বকের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে ভেষজ উদ্ভিদ
থানকুনি পাতা দেখতে কেমন সর্দির জন্য উপকারী কি গলা ব্যাথা হলে করণীয় কি মানসিক অবসাদ দূর করে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে করণীয় কি
ত্বকের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে ভেষজ উদ্ভিদ
থানকুনি পাতার বৈজ্ঞানিক নাম হলো:(centella asiatica)
থানকুনি পাতার পরিচিতি :
এটি খুব ছোট বর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ।
থানকুনি পাতা হলো গুল্ম জাতিয় ছোট উদ্ভিদ। এটি গোল আকৃতির কয়েন বা মুদ্রার মতো দেখতে।
উৎপওি:-
থানকুনি পাতা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। বাংলাদেশ, ভারত, সিংহল, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি, এবং এশিয়ার অন্যান্য বিভিন্ন দেশে এটি পাওয়া যায়।পুকুর বা জলাশয়ের দারে কিংবা ঘাস হয় এমন যায়গার এটি সচারাচর দেখা যায়।
থানকুনি পাতার ঔষধি গুনাগুন গুলি :
থানকুনি পাতায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায়্য করে যেমন:-
১. এটি মুখের ব্রণ দুর করতে সাহায্য
২. এটি মুখে ঘা ও অন্যান্য ক্ষতের জন্য উপকারী।
৩.এটি সর্দির জন্য উপকারী।
৪.এটি পেটের অসুখে থানকুনির পাতার ব্যবহার উপকারী
৫.এটি আমাশয়ে রোগীর জন্য ভাল কাজ করে।
৬.এটি সল্প সময়ের জন্য কাঁশি কমাতে সাহায্য করে।
৭.এটি গলা ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে৷
৮.এই পাতা ত্বকের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে
৯. থানকুনি পাতা বেটে ক্ষতস্থানে লাগালে ব্যথার উপশম হয় এবং রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে।
থানকুনি পাতার উপকারিতা গুলো হলো:-
১.রক্ত চলাচল বৃদ্ধি
থানকুনি পাতার রস নিয়মিত খেলে রক্ত বিশুদ্ধ থাকে।যার ফলে শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছায়। যার ফলে শারীরিক নানা জটিলতা দূর হয়।
২.ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে।
থানকুনি পাতায় রয়েছ ম্যাডেকাসসাইড যা ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করে। ত্বকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৩.আলসার দূর কর।
থানকুনি পাতা আমাশয় ও আলসারের মতো রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে।
৪.মানসিক অবসাদ দূর করে
থানকুনি পাতার রস স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মানসিক চাপ আর অস্থিরতা কম হয়। যার কারনে অ্যাংজাইটির আশঙ্কাও কমে যায়।
৫.মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়া শুরু করলে ব্রেনসেল চমৎকারভাবে কাজ করতে পারে। স্মৃতিশক্তির উন্নতির সঙ্গে বুদ্ধির ধারও বেড়ে যায়।
৬.ঘুম ভালো হয়
নিয়মিত থানকুনি পাতার ভেজানো পানি খেলে এটা স্নায়ু শিথিল করে। যার ফলে ঘুমও দারুণ হয়।
৭.ত্বকের আর্দ্রতা বৃদ্ধি
থানকুনি পাতায় অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইটোক্যামিকেল ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এতে ত্বক থাকে কোমল এবং ত্বকে বয়সের ছাপ কম দৃশ্যমান হয় থাকে।
৮.চুল পড়া রোধে
থানকুনি পাতার মধ্যে বিদ্যমান অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।চুল পড়া বন্ধ করে।
থানকুনি পাতার অপকারিতা:-
থানকুনি পাতার যেমন ভেষজগুণ রয়েছে, তেমনি রয়েছে অপকারিতাও রয়েছপ। যেমন:-
১.থানকুনি পাতার রস প্রয়োজনের বেশি খেলে পেটের ব্যথা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি । তাই এটি পরিমান মতো খেতে হবে।
২. থানকুনি পাতার রস প্রয়োজনের বেশি খেলে মাথা ঘোরাসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাই এটি পরিমান মতো খেতে হবে।
৩. লিভারের সমস্যা জনিত রোগীর থানকুনি পাতা খেলে শারীরিক নানা সমস্যায় পড়তে পারেন।
৪. অপারেশন করেছেন এমন রোগীদের থানকুনি পাতা খাওয়ায় যাবে না৷
৫.থানকুনির পাতা থেকে অনেকের অ্যালার্জি, খোশ-পাচড়াও হতে পারে।
What's Your Reaction?