কৃমি, চুলকানি, কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার এবং উদরাময় প্রভৃতি রোগ গুলো নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে এই ভাঁট গাছ।
ম্যালেরিয়া হলে করণীয় চর্মরোগ চিকিৎসা পোকা-মাকড়ের কামড় দিলে করনীয় কৃমি হলে করণীয় চুলকানির প্রতিকার কোলেস্টেরল কমানোর সহজ পদ্ধতি
কৃমি, চুলকানি, কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার এবং উদরাময় প্রভৃতি রোগ গুলো নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে এই ভাঁট গাছ।
বনজুঁই বা ঘেটু উদ্ভিদ এর বৈজ্ঞানিক নাম: Clerondendron viscosum।
এটি গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ। এটি গ্রামবাংলার অতি পরিচিত একটি বুনো উদ্ভিদ।
পরিচিতি:
ভাঁট গাছের প্রধান কাণ্ড সাধারণত সোজাভাবে দন্ডায়মান থাকে, এটি সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয় থাকে। পাতা ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়।এটি দেখতে কিছুটা পানপাতার আকৃতির এবং খসখসে। ডালের শীর্ষে পুষ্পদণ্ডে ফুল ফোটে। পাপড়ির রং সাদা এবং এতে বেগুনি রঙের মিশেল আছে।প্রায় ৪০০ প্রজাতির বনজুঁই পাওয়া যায়। যাদের আদি নিবাস এশিয়া মহাদেশের বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়।বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম ঋতু অবধি এই ফুল ফোটে। এই ফুলের রয়েছে মিষ্টি সৌরভ।এটি সাধারণত গ্রামের মেঠো পথের ধারে, পতিত জমির কাছে জন্মে থাকে। এছাড়াও পাহাড়ি বনের চূড়ায় এবং পাহাড়ি ছড়ার পাশে এদের উপস্থিতি দেখা যায়।
ব্যবহার
ভাঁট গাছ হলো ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এর পাতার রস শিশুর জ্বর দূর করেতে সাহায্য করে থাকে । এছাড়াও সনাতন ধর্মালম্বীরা ভাঁট ফুল দিয়ে ভাঁটি পূজার আয়োজন করে ।
ঔষধি গুণাগুন:
ভেষজ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই উদ্ভিদটির পাতা, শিকর ও ফুল।
১.এতে প্রচুর ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে । ফ্ল্যাভোনয়েড থাকার কারনে এটি ক্যানসার দমনে সহায়ক করে থাকে।
২. কৃমি, চুলকানি, কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার ও উদরাময় প্রভৃতি রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে এই ভেষজ উদ্ভিদ গাছ।
৩.ম্যালেরিয়া, চর্মরোগ ও পোকা-মাকড়ের কামড়ে খুবই উপকারী।
৪.এই উদ্ভিদের কচি পাতার রস টনিক হিসেবে কাজ করে। ৫.পাতায় প্রাপ্ত কেমিক্যাল কৃমিনাশক, জ্বর উপশমকারী ও এক্সপেকটোরেন্ট হিসেবেও কাজ করে।
৬.মূল থেকে প্রাপ্ত কেমিকেল এজমা, টিউমার ও চর্মরোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৭ এছাড়াও ইমপোটেন্সি বা যৌনদুর্বলতায় মূলের উষ্ণ রস চমকপ্রদ ফলপ্রসূ।
What's Your Reaction?