গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির জন্য কচু অনেক উপকারী।

মান কচুর ডগা ও পাতা বাতের রোগীকে খাওয়ান হয়।কচুর বহু ওষুধী গুনাগুন কি।কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে।

Jul 3, 2024 - 12:50
 0  40
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির জন্য কচু অনেক উপকারী।

গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির জন্য কচু অনেক উপকারী।

 বৈজ্ঞানিক নাম :(Colocassia esculenta) 

কচু চাষকৃত প্রাচীন উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম এবং আর্দ্র ও ছায়াযুক্ত স্থানে ভাল জন্মে। সম্ভবত এর উৎপত্তিস্থল পূর্ব গোলার্ধের উষ্ণমন্ডলে। কচু গাছের সংরক্ষণ অঙ্গ হিসেবে কাজ করে এ ধরনের স্ফীত মূল খাওয়া যায়। 

সবজি হিসেবে কচুর চাহিদা:-
 মানুষের খাদ্য তািলকার মধ্যে রয়েছে কচুর মুল, শিকড় বা লতি, পাতা ও ডাটা। কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ মানুষের খাদ্য তালিকায় পছন্দের মধ্যে অন্যতম একটি।
 কচুর লতি ৯০-১০০ সেমি লম্বা, মাঝারি পুরু, সিদ্ধ অবস্থায় নরম এবং খুব কম ‘গলা ধরে’।উন্নতমানের কচু স্টার্চসমৃদ্ধ। এর শাঁস থেকে সুপ, বিস্কুট, রুটি, পানীয় ও পুডিং-এ ব্যবহারের জন্য গুঁড়া তৈরি করা যায়। এ স্টার্চ শিশুখাদ্যে ব্যবহার করা যায়। আমিষ ও স্নেহপদার্থের পরিমাণ কম থাকলেও এটি ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন ‘এ’ ও ‘বি’-এর একটি ভাল উৎস
কচু শাক সব মৌসুমেই পাওয়া যায়।

খাওয়ার উপযোগী কচু:-
মানুষে খাবার উপযোগী কচুর জাতগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মুখীকচু, পানিকচু, পঞ্চমুখী কচু, ওলকচু, দুধকচু, মানকচু ইত্যাদি।
১.মুখী কচু- 
মুখী কচু সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। এটি খরিফ মৌসুম্যে চাষ উপযোগি। বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই এর চাষ হয়। 
২.ওল কচু- 
ওল কচু সবজি হিসেবে খুবই সুস্বাদু। এতে পুষ্টি ও ঔষধি মূল্য উভয়ই বিদ্যমান। বাংলাদেশে এটি গ্রীষ্ম মৌসুমে জন্মে। 
৩.মান কচু- 
মান কচুর ডগা ও পাতা বাতের রোগীকে খাওয়ান হয়।
৪.পাইন্যা কচু- 
পানিতে হয় বলে সম্ভবতই এর নাম পানি কচু। এর স্বাদ এবং পুষ্টিমান ও অত্যাধিক,এটি সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়।
 
ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে কচুর উপকারীতা:-
কচুর বহু ওষুধী গুনাগুন আছে। 
১.কচুর শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন এ” । যার কারনে রাতকানা রোগ প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত উপকারী।

২.কচু আঁশ জাতীয় হওয়ায় এটি কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে। 

৩.কচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ক্যালসিয়াম। যার ফলে এটি আমাদের হাড় শক্ত হতে সহায়তা করে।

৪.কচুতে আয়োডিনের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি চুলের ভঙ্গুরতাও বন্ধতেও কচুর উপকারিতা অনেক

 ৫.গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির জন্য কচু অনেক উপকারী। ডায়াবেটিসের রোগীও এটি খেতে পারে।

বিদেশের বাজারে দেশী কচুর লতি- 
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে কচুর লতি। বিদেশি বাজারে এ লতি বাজারজাত করা হচ্ছে এবং এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে বিদেশের বাজারে এই লতির লাভজনক ব্যবসা করা সম্ভব। 
ধন্যবাদ।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow