চুল পড়া বন্ধ করে নিমিষেই
ওজন বৃদ্ধিতে করণীয় কি চর্মরোগ নিরাময় করে কিভাবে আলসার এর স্থায়ী সমাধান ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
চুল পড়া বন্ধ করে নিমিষেই
বরই বা এর বৈজ্ঞানিক নাম:( Ziziphus)
একটু ডিম্বাকৃতির বরইকে "কুল" বলে অভিহিত করা হয় থাকে।
বরই গাছ ছোট থেকে মাঝারি আকারের ঝোপাল গাছ । বরই গাছের স্বাভাবিক উচ্চতা ১২থেকে১৩ মিটার হয়ে থাকে । ফল গোলাকার এবং ছোট থেকে মাঝারি হয়ে থাকে। ফল আকারে ছোট, কমবেশী ২.৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে।
বরই গাছের উপকারিতা গুলো হলো:-
১.ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে৷
সাধারনত বড়ই এবং বরই পাতাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। বরই এবং বরই পাতার মধ্যে ফ্যাটের পরিমান প্রায় শূণ্য, এজন্য বরই এবং বরই পাতা আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
২.চর্মরোগ নিরাময় করে
সাধারণত চামড়ায় সৃষ্টি হওয়া এলার্জি, বা যেকোনো ধরনের চর্মরোগ সারাতে বরই পত্রের রস ব্যবহার করতে পারি। প্রথমে কতগুলো বরই পাতা এনে ক্লিয়ারভাবে ধুঁয়ে অতঃপর সেই পাতাগুলোকে ক্লিয়ারভাবে পেস্ট বা ব্লান্ডার করুন। এই সময়ে চা কাপের হাফ গ্লাস সংখ্যা রস নিতে হবে। এই রসের সাথে এক চা চামচ কালো জিরার গুড়ো অ্যাড করুণ। ডেইলি রাতেরবেলা এক টানা ৭ দিন বা আরো কয়েকটি দিন এ রস খেতে হবে। এতে করে চর্মে থাকা এলার্জি খুব সহজেই দূর করা যাবে।
৩.আলসার প্রতিরোধ করে
গ্যাস্ট্রিক থেকে অনেকের পাকস্থলিলে আলসার তৈরি হয়ে থাকে।এর হতে অব্যাহতি পেতে বরই পাতা সেবন করতে হবে। বড়ই পাতাতে অ্যান্টি উপাদান হিসেবে সোডিয়াম ও বালপোরেটরের মতো কার্যকারী ঔষধীগুণ সম্পন্ন রাসায়নিক উপকরণ থাকে।ডেইলি কয়েকটি পরিষ্কার বরই পাতা সংগ্রহ করে পরিষ্কারভাবে ধুয়ে চিবিয়ে খেতে হবে। এভাবে কয়েকদিন খেলে আলসার দুর হয়ে যাবে।
৪.চুল পড়া বন্ধ করে
প্রাকৃতিক বড়ই পাতার দ্বারা চুল পড়ার সমস্যা সমাধান করা যায়। কয়েকটি বড়ই পাতা নিয়ে পরিষ্কার পানি দ্ধারা ধুয়ে নিয়ে। এর সাথে তুলসি পাতা এবং আমলা ৷ মিশিয়েপরিষ্কারভাবে তা পেস্ট তৈরি করে। অনেক সতর্ক থেকে ক্লিয়ারভাবে চুলে লাগিয়ে নিতে হবে মিক্সটি।তারপর ১০-২০ মিনিট পর সেই পেস্ট পানির ভিতরে পরিষ্কারভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করার মাধমে চুল পড়া বন্ধ করা যায়।
৫.ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে
বড়ই পাতাতে রয়েছে অ্যমাইনো অ্যাসিড,বিটা-ক্যারোটিন,স্কোয়াট অ্যাসিড এবং ফাইটোকেমিক্যালস।
উপাদানগুলো আমাদের ত্বকের সব ধরনের পুষ্টির ঘাটতি দুর করে। মাঝে মাঝে আমাদের ত্বকে কয়েকটি স্পষ্ট বলিরেখা লক্ষ্য দেয়। এগুলোও চমৎকারভাবে দূর হয়ে যায়।
এর জন্য প্রথমে কতগুলো ক্লিয়ার বড়ই পত্র নিন। অতঃপর পরিষ্কারভাবে সেগুলো পেস্ট করে নিতে হবে সাথে কিছু মধু যোগ করুন। এই সময়ে সেই পেস্টটি মুখ-মন্ডলে ভালোভাবে লাগিয়ে কয়েক মিনিট এভাবে মুখে রেখে পরোক্ষণে তা ক্লিয়ারভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে টানা ১০-১৫ দিন মান্য করার দ্বারা ত্বকে সৌন্দর্য ফিরেয়ে আনতে পারে ভীষণ সহজেই।
৬.গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা
সাধারনত বরই খাওয়ার উপকারিতাই বেশি। বরই খাওয়ার দ্বারা একজন গর্ভধারিণী বেশ অনেকগুলো উপকারিতা পেতে পারে।
বড়ই পাতার অপকারিতা
বরই অপকারি দিক গুলো হলো-
১.যাদের শ্বাস-কষ্ট রয়েছে, সেই ব্যক্তিদের বরই খাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে।
২. যাদের ডায়াবেটিস রোগ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও বরেই বেশ ক্ষতিকর। কারণ বরইতে থাকা চিনি ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দিতে পারে।
মৃত ব্যক্তির গোসলে বরই পাতার ব্যবহার
বরই পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিসেফটিক উপাদান। যা পানিতে কিছুক্ষণ রেখে পাতলা করলে বরই পাতার সেই অ্যান্টিসেফটিক আঁঠালো রূপে বের হয়ে পানির সঙ্গে মিশে যায়। আর সেই জল তথা নির্যাস মানুষ শরীরকে জীবানুমুক্ত করতে ব্যাপক অবদান রাখে।
মুসলিমরা মৃত ব্যক্তিকে গোসল করতে হলে বরই পাতা ব্যবহার করে থাকে।
বরই পাতা খাওয়ার নিয়ম
প্রতিদিন দেহকে সুস্থ রাখতে দিনে দুই থেকে তিনটি বরই পাতা ভালোভাবে ধুয়ে যে কোন সময় সেবন করুন। এতে করে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
What's Your Reaction?