শশায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, বি ও সি আরো বিস্তারিত জানুন।

চুল ও নখ সতেজ করে হজম ও ওজন কমাতে সহায়ক গেঁটেবাত থেকে মুক্তি

Aug 24, 2024 - 11:52
 0  10
শশায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, বি ও সি আরো বিস্তারিত জানুন।

শশায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, বি ও সি আরো বিস্তারিত জানুন।
শশা এর বৈজ্ঞানিক নাম (Cucumis sativus)।এটি গোর্ড পরিবার কিউকারবিটাসের অন্তর্গত একটি অতি পরিচিত উদ্ভিদ। শশা এক প্রকারের ফল। 

পরিচয় ও বিস্তার 
শশা সাধারণত লতানো উদ্ভিদে জন্মানো এক প্রকার ফল।এটি লম্বাটে আকৃতির এবং প্রায় ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। শশা বাইরের রঙ সবুজ এবং পাকলে হলুদ হয়। এর ভেতরটা সাদাটে সবুজ রঙের হয়, এবং মধ্যভাগে বীজ থাকে। এটি কাঁচা খাওয়া হয় বা সালাদ তৈরীতে ব্যবহার করা হয়।এটি সাধারণত গরমের সময় বেশি পাওয়া যায়। বেশ কয়েক জাতের শশা রয়েছে। এটা দেখতে সবুজ রঙের লম্বা আকারের হয়ে থাকে ।এটি সাধারণত গরমের সময় বেশি পাওয়া যায়। 


উৎপওি
 ভারতবর্ষে এর উৎপওি হলেও বর্তমানে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রায় সব জায়গাতেই এটি জন্মে।

পুষ্টিগুন
শশায় ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে এবং জলের পরিমাণ বেশি থাকে । খোসা সহ একটি কাঁচা শশা'র প্রতি ১০০ গ্রামে ২০ কিলো ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।এছাড়াও শশায় ভিটামিন এ, বি ও সি রয়েছে।শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে।

শশা খাওয়ার উপকারিতা 
১.বিষাক্ততা দূর করে
শসায় যে পানি থাকে, তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে কাজ করে। নিয়মিত শসা খাওয়ায় ফলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।

২. ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে
শশায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, বি ও সি যা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয় থাকে।

৩.ত্বকবান্ধব খনিজের সরবরাহকারী
শশায় রয়েছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে, যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ জন্য ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় শসা ব্যবহার করা হয়।

৪.হজম ও ওজন কমাতে সহায়ক
শসায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। ফলে যার ফলে দেহের ওজন কমাতে শসা আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করবে। শশার স্যুপ ও সালাদে এবং কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠ-কাঠিন্য সমস্যা দূর হয়।

৫.চোখের জ্যোতি বাড়ায়
 চোখের জ্যোতি বাড়াতে শশা খুবই কার্যকরী। শশায় চোখের প্রদাহপ্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে থাকে।

৬.চুল ও নখ সতেজ করে
শসার মধ্যে যে খনিজ সিলিকা থাকে তা আমাদের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৭.গেঁটেবাত থেকে মুক্তি
শসায় রয়েছ প্রচুর পরিমাণে সিলিকা এর উপাদান। গাজরের রস এবং শসার রস মিশিয়ে খেলে এটি দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এতে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৮.মাথাধরা থেকে নিষ্কৃতি
 শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার রয়েছে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক স্লাইস শসা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ধরে শরীর ম্যাজম্যাজ করা সমস্যা ধর করে থাকে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow