এটি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও ভূমিকা রাখে।
শরীরের হাড় শক্ত করে দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে ত্বকের সতেজ ভাব ফিরিয়ে আনে
এটি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও ভূমিকা রাখে।
ড্রাগন ফল বা পিতায়া এর বৈজ্ঞানিক নাম Hylocereus undatus। এটি এক প্রজাতির ফল, একধরনের ফণীমনসা (ক্যাক্টাস) প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত , সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে এর মহাজাতি হায়লোসিরিয়াস (মিষ্টি পিতায়া)। এই ফল মূলত ড্রাগন ফল হিসেবে পরিচিত।এটি সাদা এবং লাল রঙের হয়ে থাকে তবে লাল রঙ্গের ড্রাগন ফল বেশি দেখা যায়।
উৎপওি
ড্রাগন ফল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ক্যারিবিয়ান, অস্ট্রেলিয়া , মেসোআমেরিকা এবং বিশ্বের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে চাষ হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও এর ব্যবসায়িক ভাবে চাষের শুরু হয়েছে।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা হলো:-
১. ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আঁশ যা রক্তের চর্বি কমায় সাহায্য করে, হজমে সাহায্য করে, হৃৎপিণ্ডের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এটি খুব কার্যকারি।
২.ড্রাগন ফলে লাইকোপেন যা ক্যানসারপ্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে থাকে।
৩.ড্রাগন ফল ক্যারোটিন–সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৪. ড্রাগনের মধ্যে আছে প্রোটিন যা শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কাজে সহায়তা করে থাকে।
৫. ড্রাগন ফলে আছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম যা শরীরের হাড় শক্ত ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে। নারীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই ড্রাগন ফল।
৬. ড্রাগন ফলে আছে পর্যাপ্ত পিরমানে ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। ত্বকের সতেজ ভাব ফিরিয়ে আনে। এটি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও ভূমিকা রাখে।
৭. ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন যার ফলে এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়, যা কিশোরী, অন্তঃসত্ত্বা, প্রসূতিদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
৮. এতে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার ও জলীয় অংশ থাকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে।
What's Your Reaction?